আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা
প্রতিটা মানুষের জীবনের একটা লক্ষ্য থাকে আমারও একটা লক্ষ্য আছে । শৈশব থেকে মানুষ একটা লক্ষ্য নিয়ে বড় হয়। সব সময় ভাবে বড় হয়ে কি করবে, অনেক স্বপ্ন থাকে জীবনের লক্ষ্য নিয়ে। বড় হয়ে কি করবে, কেমন জীবন যাপন করবে সব সময় এই কথা গুলোই ভাবতে থাকে।
সূচিপত্রতেমনি আমার জীবনের লক্ষ্য হল শিক্ষক হওয়া ।
জীবনের লক্ষ্য যেমন হওয়া উচিত
আমার জীবনের লক্ষ্য যেমন একজন শিক্ষক হওয়া তেমনি একজন ভালো মানুষ হওয়া। প্রতিটা মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্য একজন মানুষের মতো মানুষ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। পেশায় মানুষ যাই করুক কিন্তু জীবনের মূল লক্ষ্য হতে হবে একজন ভালো মনের মানুষ হওয়া। জীবনে চলার জন্য আমাদের একটা পেশা বেছে নিতে হয় , সেই দিক থেকে আমার জীবনের লক্ষ্য শিক্ষকতা।
আরও পড়ুন ঃ গরমের সময় ত্বকের যত্ন
আমার জীবনের লক্ষ্য
জীবনের লক্ষ্য মানুষের জীবনকে দিকনির্দেশনা দেয় এবং তাকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমার জীবনের লক্ষ্য হলো একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়া। শিক্ষকতার মাধ্যমে আমি সমাজের অশিক্ষিত ও দরিদ্র মানুষদের জীবনকে আলোকিত করতে চাই।
আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা মানুষের মনন ও চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটায় এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। আমার দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ, যারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য কাজ করতে চাই। আমি তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, সুশিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ শেখাতে চাই, যাতে তারা কুসংস্কার ও অজ্ঞতা থেকে মুক্তি পায়।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমি ছাত্রজীবন থেকেই কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করছি। আমি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে গ্রামের একটি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চাই। আমার এই লক্ষ্য শুধু আমার জীবনকে অর্থবহ করবে না, বরং সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে।
শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা
শিক্ষকতা একটি সম্মান জনক পেশা। সবাই শিক্ষক দের অনেক সম্মান করে, এবং শিক্ষকতা পেশা সমাজে অনেক ভুমিকা রাখে।সমাজে অনেক কুসংস্কার আছে বেশি মানুষ কুসংস্কার মেনে চলে।এসব বন্ধ করার জন্য সবার মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে হবে ।পুরনো দিনের ভাবনা নিয়েই সবাই আছে তাদের মধ্যে সঠিক ভাবনা আনতে শিক্ষকের ভুমিকা অনেক বেশি।
সমাজকে পরিবর্তন করাই আমার জীবনের লক্ষ্য ।শিক্ষক সমাজের মেরুদণ্ড এবং জাতির উন্নয়নের প্রধান কারিগর। একজন শিক্ষক শুধু জ্ঞান বিতরণ করেন না, বরং ছাত্র-ছাত্রীদের চরিত্র গঠন, নৈতিক মূল্যবোধ এবং জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করেন।একটি শিক্ষিত জাতিই দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। শিক্ষকরা এই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
শিক্ষক ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা অচল এবং সমাজের অগ্রগতি অসম্ভব। তাই শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাদের এই মহান দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাসসহ বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান ছড়িয়ে দেন, যা তাদের চিন্তাশক্তি ও দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটায়।
আরও পড়ুন ঃ নাটোরের উত্তরা গণভবন কোথায় অবস্থিত
যে কারনে লক্ষ্য স্থাপন করবো
প্রতিটা মানুষের সুস্থ সুন্দর জীবন যাপনের জন্য একটি ভালো পেশা থাকা জরুরি। ভালো কাজ করতে গেলে অবশ্যই জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে।পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর জীবন যাপন করার জন্য জীবনের লক্ষ্য স্থির করা জরুরি।শিক্ষকরা
শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করেন। শুধু নিজের পরিবারের জন্য না সুন্দর রুচিশীল একটি সমাজ গরতেও জীবনের লক্ষ্য হতে হবে অটুট। তাই প্রতিটা মানুষের জীবনের একটা লক্ষ্য থাকা উচিত।
লক্ষ্য স্থাপনের পরিণতি
আমার পছন্দের পেশা শিক্ষকতা। আমি শিক্ষক হলে সব সময় চেষ্টা করবো গ্রামের মানুষের মাঝে সঠিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে। তাদের মাঝে যেন কোন কুসংস্কার না থাকে ,তাদের মধ্যে থেকে কুসংস্কার দূর করার চেষ্টা করব। গরীব বাচ্চাদের পড়াশোনা করার জন্য উৎসাহ দেব। বাল্য বিবাহ যেন না দেয় তাদের বোঝাবো। শিশুদের দিয়ে কাজ না করিয়ে যেন বিদলয়ে পাঠায় সেইদিক নজর দেবো । শিশু শ্রম বন্ধ করব।
উপসংহার
প্রতিটা মানুষের একটা লক্ষ্য থাকতে হবে , লক্ষ্যহীন জীবনের কোন মূল্য নেই। শৈশব, কৈশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধা সব মানুষের একটা লক্ষ্য স্থির করে কায করতে হবে। যার জীবনে লক্ষ্য নেই সে জীবনে কিছু করতে পারবে না । লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য নিয়েই মানুশের জীবন, যতদিন মানুষ বেঁচে থাকবে কোন না কোন লক্ষ্য নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url