শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয়
বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম-বাচ্চাকে রাখুন সুস্থ সবল আপনার বাচ্চার কি জ্বর হয়েছে? শরীর সবসময় গরম থাকে কি করবেন বুঝতে পারছেন না । শিশুর জ্বর ১০২ হলে কি করবেন সে বুঝতে পারছেন না তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য । ছোট বাচ্চাদের জ্বর হলে মায়েদের একটু ভয় লাগে।
সূচিপত্রআপনার বাচ্চার জ্বর যদি মেপে দেখেন ১০২ হয়ে গেছে তাহলে কি করবেন এই সব কিছুই আর্টিকেল এর মধ্যে পাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শিশুর জ্বর ১০২ হলে করণীয় কি ।
কিভাবে বুঝবেন শিশুর জ্বর হয়েছে
শরীর গরম থাকে মানেই জ্বর ্না । অনেক সময় শিশুদের শরীর এমনিতেই গরম থাকে । আপনার বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখুন । জিহ্বার নিচে ৯৯ ডিগ্রী অথবা এর ওপরে হয়ে থাকে এবং বগলের নিচে যদি ১০০ ডিগ্রী হয়ে থাকে অথবা এর উপরে হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চার জ্বর হয়েছে ।
আরো পড়ুন :নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনার মনে অনেক সময় প্রশ্ন থাকতে পারে বাচ্চার 102 জ্বর হওয়ার কি স্বাভাবিক নাকি । জ্বর একটি সাধারন অসুখ এতে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই । বাচ্চার শরীর গরম দেখলেই ডাক্তারের কাছে ছুটে যান । যদি বাচ্চার ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে তাহলে এক থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে । এর মধ্য এন্টিবায়োটিক ওষুধেও কাজে লাগে না ।
তাই আগে মেপে দেখবেন বাচ্চা শরীরের তাপমাত্রা কত ১০০ এর উপরে হলে বুঝতে পারবেন বাচ্চার জ্বর হয়েছে । একদিনে জ্বর ভালো হবে না এর জন্য আপনাকে দুই তিন দিন সময় দিতে হবে । এরপর আস্তে আস্তে জ্বর ভালো হয়ে যাবে ।
শিশুর জ্বর হলে যা করণীয়
জ্বর একটি সাধারন সমস্যা, জ্বর আমাদের তেমন ক্ষতিকর কোনো সমস্যা না । জ্বর হলে এটা বোঝা যায় যে আমাদের শরীরের যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো আছে তাদের সাথে লড়াই করছে। জ্বর হলোএমন একটি অসুখ যা মানুষ দেহের ক্ষতিকর ভাইরাসদের সাথে লড়াই করে ক্ষতিকর ভাইরাসের বংশ বিস্তারে বাধা দেয়। তাই জ্বর হলে ঘাবড়ে যাবেন না জ্বর হলে যা করবেন তা এখন আপনাদের জানাবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শিশুর জ্বর হলে কি করবেন।
- শিশুর জ্বরে অভিভাবকের করণীয়
- মুখে ওষুধ খাওয়ানো
- সাপোজিটরি ব্যবহার
শিশুর জ্বরে অভিভাবকের করণীয়
আপনার বাচ্চার যদি জ্বর হয়ে থাকে তাহলে আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে একটি গামছা ভিজিয়ে বাচ্চার শরীর মুছে দিতে পারেন । বাচ্চা কি ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে দিবেন , ঘুমাতে দিবেন এবং মুখে ওষুধ খাওয়াবেন । সেই সময় বাচ্চাদের যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নিতে দিবেন ।
আপনার বাচ্চাকে যদি ঘুমিয়ে থাকে তাকে ঘুমোতে দিবেন তাকে জোর করে ঘুম থেকে তুলে দিবেন না । ঔষধ খাওয়ানোর সময় হলেও তাকে ঘুম থেকে উঠাবেন না। যখন ঘুম ভাঙবে তখন ওষুধ খাওয়াবেন কারণ এ সময় আপনার বাচ্চার বিশ্রাম নেওয়াটা খুব জরুরি । আপনার বাচ্চা কি সব সময় আলো বাতাস ঢুকে এমন জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন।
মুখে ওষুধ খাওয়ানো
আপনি নিশ্চয়ই জানেন জ্বরের ওষুধ হলো প্যারাসিটামল । জ্বর হলে আপনার বাচ্চাকে প্যারাসিটামল খাওয়াবেন । প্যারাসিটামল সাধারণত ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর খাওয়াতে হয় । শিশুর জ্বর যদি ১০২ এর নিচে থাকে তাহলে সাধারণত প্যারাসিটামল খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই ।
আপনার বাচ্চার যদি শীত শীত ভাব হয় , শরীর অস্থির লাগে , তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি থাকে তাহলে ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নাই । শুধুমাত্র অস্থিরতা এবং শরীর গরম হলেই ওষুধ খাওয়ানো যাবে না । একবার ওষুধ খাওয়ানোর ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর আবার ওষুধ খাওয়াবে । ওষুধ খাওয়ানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি বমি করে তাহলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আবার ওষুধ খাওয়ানো যাবে ।
সাপোজিটরি ব্যবহার
আপনার বাচ্চার যদি বেশি জ্বর হয়ে থাকে । জ্বরের মাত্রা বেশি হলে সাধারণত সাপোজিটরি দিয়ে থাকে। মুখে খাওয়ানো ওষুধের কাজই করে সাপোজিটরি । এটা সাধারণত পায়ুপথ দিয়ে দেওয়া হয়। পায়ুপথে বারবার স্থপতি প্রবেশ করানোর ফলে মলদ্বারে সমস্যা হতে পারে। অসুর দ্রুত সারানোর জন্যই সাধারণত সাপোজিটরি ব্যবহার করা হয় । এটা তখনই ব্যবহার করবেন যখন দেখবেন আপনার বাচ্চা বারবার বমি করছে ওষুধ খাওয়ালে ওষুধ পেটে থাকছেনা।
খালি পেটে ওষুধ দিবেন কিনা
জ্বর হলে বাচ্চাদের একটাই সমস্যা থাকে তারা কিছু খেতে চায় না বা খায় না । হয় শুধু বাচ্চারা না বড়রাও এমন করে । আপনার বাচ্চাকে আপনার যথেষ্ট বুঝিয়ে শুনিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন । বাচ্চাদের সাধারণত এসিডিটি কম হয়ে থাকে আপনার বাচ্চা যদি কিছু না খায় বা খেতে চাচ্ছে না এমন হয় তখন আপনি খালি পেটে ওষুধ খাওয়াতে পারেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url