বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম-বাচ্চাকে রাখুন সুস্থ সবল
পুরাতন আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা আপনার বাচ্চার কি আমাশয় হয়েছে? কি ওষুধ খাওয়াবেন সেটা জানতে চাচ্ছেন ।আজ এই আর্টিকেলে জানাবো বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম । বাচ্চার কিছু হলে মা-বাবার মন অনেক খারাপ হয়ে যায় আর এটাই স্বাভাবিক।
সূচিপত্রআপনার বাচ্চা যদি অসুস্থ হয় তখন আপনি কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না । আর যদি আমাশয় এর মত রোগ হয় তখন তো অভিভাবকরা আরো চিন্তিত হয়ে পড়ে। আজ আপনাদের জানাবো বাচ্চাদের আমাশয় ওষুধের নাম।
আমাশয় রোগের লক্ষণ
আমাশয় এমন একটি রোগ যা সাধারণের মতো অন্ত্রের প্রদাহ দ্বারা চিহ্নিত গ্যাস্ট্রোইন টেস্টটইনাল । আপনি যে লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চা আমাশয় হয়েছেঃ
- আপনার বাচ্চার যদি আমাশয় হয় তাহলে পাতলা পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ দেখা দিবে।
- বমি বমি ভাব হবে এবং সাথে বমিও হতে পারে
- বাচ্চা ঠিকমত খেতে চাইবে না
- ক্লান্তি অনুভব করবে আপনার বাচ্চা
- শরীরে হালকা জ্বর থাকতে পারে
বাচ্চার আমাশয় হলে যে কাজগুলো করবেন
আপনার বাচ্চা যদি আমাশয়ের মতো রোগ দেখা দেয় তাহলে আপনি বাচ্চাকে তরল খাবার খাওয়াবেন এবং পানি খাওয়াবেন । প্রয়োজন অনুযায়ী বাচ্চাকে খারাপ স্যালাইন খাওয়াবেন। স্যালাইন শরীরের পানি ঘাটতি পূরণ করে। পাশাপাশি বাচ্চাকে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন ।
আরও পরুন ঃ নবজাতকের পেট ফাঁপা দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনার বাচ্চাকে নোংরা জিনিস নিয়ে খেলতে দিবেন নানকরা জিনিস ঘাটাঘাটি করতে দেবেন না । নোংরা জিনিস নিয়ে খেলাধুলা করলে সেখান থেকে সব জীবাণু শরীরের প্রবেশ করবে এবং প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনার বাচ্চাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। বাহিরের আজেবাজে জিনিস খাওয়াবেন না। আপনার বাচ্চাকে তৈলাক্ত জিনিস খাওয়াবেন না।
তেল যুক্ত খাবারে গ্যাস থাকে এ থেকে আপনার বাচ্চার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। আপনার বাচ্চার যদি আমাষোয় বন্ধ না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন । আপনার বাচ্চাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গাতে রাখবেন এবং পরিষ্কার করে রাখবেন । আপনার বাচ্চার আমাশয় হলে উপরের যে পরামর্শ দিলাম সেই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে আশা করা যায় আপনার বাচ্চা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।
বাচ্চাদের আমাশয় ঔষধ নাম
বাচ্চাদের আমাশয় হলে অভিভাবকরা খুব চিন্তিত হয় আর এটি স্বাভাবিক। এখন এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো বাচ্চার আমাশার রোগের ওষুধ এর নাম । এখন আপনাদের মাঝে কতগুলো ওষুধের নাম বলব যেগুলো বাচ্চাদের আমাশয় হলে খাওয়াতে হয় ।
কিন্তু আপনাদেরও এটা মনে রাখা উচিত যে কোন ঔষধ খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধি বাচ্চাকে খাওয়ানো উচিত না। তারপরও আপনাদের কিছু ধারনা দেওয়ার জন্য কয়েকটি ওষুধের নাম এখন আপনাদের বলব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ওষুধ গুলো কি কিঃ
- সেকনিডাজল
- লোপার মাইড
- মেট্রোনি ডাজল
সেকনিডাজল
এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ । এই ওষুধ টা সাধারণত আমাশয় রোগের জন্য । আপনার বাচ্চার আমাশয় হলে এই ওষুধ খাওয়াতে পারেন। যদি আমার সাথে পরিমাণ বেশি হয় নরমাল ওষুধের কাজ না করে তাহলে এই ওষুধ দিতে পারেন । এই ওষুধ এন্টিবায়োটিক হওয়ার পেজটি আপনার বাচ্চার শরীরের রোগ জীবাণু মেরে ফেলতে সাহায্য করবে। এর ফলে আপনার বাচ্চা সুস্থ হয়ে ওঠেবে ।
লোপার মাইড
লোপার মাইড সাধারণত আমাশার ওষুধ । আপনার বাচ্চার আমাশয় হলে এই ওষুধ খাওয়াতে পারেন। এটি আমাশয় রোগের জন্য খুব ভালো কাজ করে। বাচ্চাদের আমাশয়ের ক্ষেত্রে লোপার মাইন্ড সাধারণত দিয়ে থাকে। এ ঔষধ আপনার বাচ্চার পাতলা পায়খানা ও আমোশহয় ভালো করে দিতে সাহায্য করবে ।
মেট্রোনি ডাজল
এই ওষুধটিও মূলত এন্টিবায়োটিক ওষুধ । এন্টিবায়োটিক হওয়ায় এই ঔষধ আপনার বাচ্চার ভিতরের রোগ জীবাণু মেরে ফেলতে সাহায্য করবে। এ ঔষধ দ্রুত রোগ জীবাণু মেরে বাচ্চাকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। এই ঔষধ খাওয়ার ফলে দ্রুত আমার সাথে ভালো হয়ে যায়।
আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনার বাচ্চার যদি আমাশয় হয়ে থাকে তাহলে আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা করে দেখতে পারেন। এখন আপনাদের জানাবো কিভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা করবেন। আপনার ঘরে যদি কমলা লেবু থেকে থাকে তাহলে কমলালেবুর শরবত করে খাওয়াতে পারেন ।
এতে আপনার বাচ্চা কিছুটাও উপস্থিত হতে পারে। আমাশয় রোগের জন্য বেলের শরবত খুব উপকারী হয়ে থাকে। আপনি আপনার বাচ্চাকে বেলের শরবত করে খাওয়াতে পারেন এটা আমাশয় রোগের জন্য অনেক কাজে লাগতে পারে । লেবুর শরবত লেবুর শরবত খাওয়াতে পারেন এটাও আমার সঙ্গে রোগের জন্য উপকারী।
আমি আপনাদের যেই উপকরণগুলো বললাম সেগুলো প্রায় সবার ঘরেই থাকে । আপনার ঘরে থাকা জিনিস দিয়েই আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা করে দেখতে পারেন। আশা করা যায় এতে আপনার বাচ্চা অনেক উপকৃত হবে।
উপসংহার
আজ এই আর্টিকেলে আপনাদের জানালাম আপনার বাচ্চার আমাশয় রোগ হলে কি ওষুধ খাওয়াবেন, কি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চার আমাশয় হয়েছে , ঘরোয়া ভাবে কিভাবে চিকিৎসা করে । আপনি যদি সবগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি এসব সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন আশা করা যায় । সবশেষে একটি কথাই বলব আপনার বাচ্চা যদি বেশি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url